মঙ্গলগ্রহে কোন মানুষ থাকে না, তা সবাই জানে। কিন্তু মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা কি কখনো মানুষ হয়ে জন্ম নিতে পারে? আধুনিক কল্পবিজ্ঞানকেও হার মানায় যে বাস্তবতা, বাস্তবিকই এই দাবি এক কিশোরের।
![]() |
মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা পৃথিবীতে |
সে মানুষ বটে, তবে কোনও সাধারণ মানুষ নয়। কেননা এ পৃথিবীতে সে এসেছে মঙ্গলগ্রহ থেকে। পৃথিবীকে আসন্ন পারমাণবিক যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষা করতে হবে মানবসভ্যতাকে। দৃঢ় প্রত্যয়ে এই কথাগুলিই বলে চলেছে এক রাশিয়ান কিশোর। সে কোনও কল্পবিজ্ঞানের মনগড়া গল্প বানিয়ে বানিয়ে বলছে, এমনটাও মনে হচ্ছে না। মূলত এই কিশোরের দাবিতে হইচই পড়েছে।
এই কিশোরের নাম বরিস। তার দাবি, তার অতীত জীবন কেটেছে মঙ্গল গ্রহে। মঙ্গলের বাসিন্দা মার্শিয়ানসদের সঙ্গে সে বহুদিন কাটিয়েছে। এই মার্শিয়ানদের এক গ্যালাক্সি থেকে অন্য গ্যালাক্সিতে যাওয়ার ক্ষমতা আছে। বরিস জানাচ্ছে, সেখানে একটা কর্মসূচি নেওয়া হয়। পারমাণবিক যুদ্ধে বিপন্ন হতে পারে পৃথিবী আর পৃথিবীর মানুষের অস্তিত্ব। তাঁদের বাঁচাতে হবে বিলুপ্তির হাত থেকে। সেই প্রকল্পেরই একজন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে তাকে। আর তাই তার মানুষ হয়ে পৃথিবীতে আসা। তা নাহলে সে কখনোই মানুষ হয়ে পৃথিবীতে আসত না। তার দাবি সে একটি মহাকাশযান তৈরি করে ফেলেছে। এই মহাকাশ যানের আছে ছয়টি স্তর। ধাতু, রাবারের স্তরের পাশাপাশি আছে একটা চুম্বকীয় স্তরও। বরিসের মতে, এই চুম্বকীয় স্তর আর শক্তির সমন্বয়ে দরুন এই মহাকাশ যান মহাবিশ্বের যে কোনও জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে।
বরিসের এই সব কথাবার্তা রীতিমতো বিস্ময়কর। এসব যুক্তির সমর্থনে তার মা আরও বলেন, বরিস জন্মানোর সময় তিনি কোনও ব্যথাই অনুভব করেন নি। এমনকি জন্মানোর পর থেকেই প্রাপ্তবয়স্কদের মতো হাবভাব ফুটে ওঠে তাঁর সন্তানের মধ্যে। সাধারণত সদ্যোজাত শিশুরা দৃষ্টি স্থির করে তাকাতে পারে না। বরিস তা পেরেছিল। এ ছাড়া মাত্র ১ বছর বয়সেই সে লেখাপড়া শিখে যায়। অনেক চিকিৎসকও বরিসের দেহে সাধারণ শিশুদেরর থেকে বেশ কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য খুঁজে পান। তবে বর্তমানে এই বালক ও তার মা দুজনেই নাকি নিখোঁজ। তাই নিয়েই উদ্বেগ ছড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। অনেকে মনে করছেন বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে রাশিয়ার অজ্ঞাত কোন গ্রামে লুকিয়ে আছে তারা। তবে তাদের উদ্দেশ্য কি? পরিচয় কি? সেকথা বলতে পারছেন না কেউই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন