চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলছে ভয়ংকর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা। যেখানে চীন ইতোমধ্যেই কার্যকর DF-17 এবং DF-ZF মোতায়েন করেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র এখনো পরীক্ষামূলক ধাপে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের এই দৌড়ে চীন কতটা এগিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র কতটা পিছিয়ে – সেই তথ্যই থাকছে এই ভিডিওতে।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বলতে বোঝায় এমন অস্ত্র যা শব্দের গতির পাঁচ গুণেরও বেশি, অর্থাৎ ম্যাক ৫ গতিতে চলতে সক্ষম। এগুলো শুধু দ্রুত নয়, অত্যন্ত জটিল গতিপথে ছুটতে পারে। ফলে প্রচলিত রাডার ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এগুলোকে প্রায় অচল করে দেয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এই দৌড়ে কারা এগিয়ে?
চীনের অবস্থান
চীন গত এক দশকে হাইপারসনিক অস্ত্র গবেষণায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। তাদের সবচেয়ে আলোচিত অস্ত্র হলো DF-17 হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯ সালে প্যারেডে প্রদর্শিত হয়। ধারণা করা হয়, এই অস্ত্র ২,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হলো—DF-17 আকাশে উড়ার সময় দিক পরিবর্তন করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কার্যত অকার্যকর করে তোলে।শুধু DF-17 নয়, চীন আরও উন্নত DF-ZF এবং পরীক্ষামূলক হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরি করেছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বারবার সতর্ক করেছে যে, চীন এই প্রযুক্তিতে বিশ্বে প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো গবেষণা ও পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। তাদের হাইপারসনিক অস্ত্র প্রোগ্রাম যেমন ARRW (Air-launched Rapid Response Weapon) এবং HAWC (Hypersonic Air-breathing Weapon Concept) – একাধিকবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সফলতা এলেও চীন ও রাশিয়ার তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই পিছিয়ে।আমেরিকা স্বীকার করেছে যে, হাইপারসনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় তারা অন্তত কয়েক বছর পিছিয়ে আছে। এজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাজেট বাড়ানো হয়েছে এবং নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
কে এগিয়ে?
তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বলা যায়—চীন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে। চীন ইতোমধ্যে কার্যকর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র এখনো পরীক্ষামূলক স্তরে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের শক্তি বিবেচনায় নিলে বলা যায়, এই ব্যবধান চিরস্থায়ী নয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমেরিকা এই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে।
আধুনিক যুদ্ধের চিত্র দ্রুত পাল্টে দিচ্ছে হাইপারসনিক প্রযুক্তি। আজ চীন এগিয়ে থাকলেও আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রও সমানতালে লড়াইয়ে নামবে। আর এই প্রতিযোগিতা শুধু দুটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-রাশিয়াও এই দৌড়ে এক শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। এমন অস্ত্রের দৌড়ে এগিয়ে থাকার মানে হলো বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা অর্জন করা। তাই বলা যায়, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতের যুদ্ধে ‘গেম চেঞ্জার।
#China #USA #Hypersonic #MissileRace #MissileTes #MilitaryPower #ChinaMilitary #DF17 #DFZF #WarTechnology #USMilitary #ChinaVsUSA #FutureWeapons
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন