ন্যাটো সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করলে, পুরো ইউরোপ ধ্বংস করে দেওয়া হবে- পুতিন - BD Today Viral

এইমাত্র

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ন্যাটো সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করলে, পুরো ইউরোপ ধ্বংস করে দেওয়া হবে- পুতিন


"ইউক্রেনের আকাশে আগুন! মাত্র এক রাতে রুশ বাহিনীর ৮০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়াবহ হামলা! ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবার পশ্চিমা দেশগুলোকে সরাসরি সেনা পাঠানোর আহ্বান জানালেন। ইউরোপে কি শুরু হতে যাচ্ছে আরও বড় যুদ্ধ? চলুন জেনে নেই পুরো ঘটনা…"


"ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাত্র এক রাতেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে চালিয়েছে একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সংখ্যা ৮০০! আধুনিক শা‌হেদ ড্রোন, ইসকান্দার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে হাইপারসনিক ‘কিঞ্জাল’-সবই ব্যবহার করেছে রাশিয়া।এই আক্রমণে রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, ওডেসা, দিনিপ্রোসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা লক্ষ্যবস্তু হয়। শহরের আকাশ প্রতিরক্ষায় ইউক্রেনীয় বাহিনী শত শত ড্রোন ভূপাতিত করলেও সব আটকানো সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছে বহু শহর, সাধারণ মানুষ রাত কাটিয়েছে বাঙ্কারে।"


"প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এই ভয়াবহ হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত কয়েক ডজন সাধারণ মানুষ, আহত হয়েছেন শতাধিক। ধ্বংস হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেললাইন, গুদাম এবং আবাসিক ভবন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র এক রাতে ব্যবহার করা রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা যে তারা যুদ্ধকে আরও তীব্র পর্যায়ে নিয়ে গেছে।"


"এই হামলার পরই টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন-'ইউক্রেন একা এই যুদ্ধ সামলাতে পারবে না। পশ্চিমাদের শুধু অস্ত্র নয়, এখন সেনা পাঠিয়েও সরাসরি অংশ নিতে হবে। না হলে ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন থামানো সম্ভব হবে না।'জেলেনস্কি সতর্ক করেছেন, যদি পশ্চিমারা নীরব থাকে তবে এই যুদ্ধ কেবল ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ছড়িয়ে পড়বে সমগ্র ইউরোপে।"


"জেলেনস্কির এই আহ্বান পশ্চিমা বিশ্বে আলোচনার ঝড় তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনকে অস্ত্র, অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিলেও সরাসরি সেনা পাঠানোর বিষয়ে সবসময়ই সতর্ক থেকেছে। ন্যাটোও বলছে-সরাসরি সেনা পাঠানো মানে হবে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, যা পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।"


"অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন- 'যদি ন্যাটো বা পশ্চিমা সেনারা ইউক্রেনে প্রবেশ করে, তবে সেটি সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সমান হবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা এমন জবাব দেব, যা ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি।'রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারি ইউরোপের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।"


"বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৮০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ব্যবহার করা যুদ্ধ কৌশলের বড় পরিবর্তন। এর মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করছে। অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যদি যথেষ্ট উন্নত করা হয় তবে তারা রাশিয়ার আধুনিক হামলা ঠেকাতে পারবে। এজন্য প্রয়োজন আরও বেশি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম, ফাইটার জেট ও রাডার প্রযুক্তি।"


"যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ক্রমাগত বোমা হামলায় হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে জায়গা সংকট, বিদ্যুৎ নেই, খাবারের অভাব তীব্র। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেনে এ পর্যন্ত কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে।"


"রাশিয়ার এই হামলার পর বিশ্ব রাজনীতিতেও উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে আবারও ইউক্রেনকে বাড়তি সহায়তার দাবি উঠেছে। ইউরোপের দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনকে বাঁচানো মানে ইউরোপকেই বাঁচানো। অন্যদিকে চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার পাশে অবস্থান করছে। এর ফলে বৈশ্বিক রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে।"


"প্রশ্ন হচ্ছে-এত বড় হামলার পর যুদ্ধ কোন দিকে যাবে?


একদিকে ইউক্রেন পশ্চিমাদের সরাসরি সেনা সহায়তা চাইছে, অন্যদিকে রাশিয়া হুমকি দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের।বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে ইউরোপের মাটিতে এক নতুন বৈশ্বিক সংঘাত শুরু হতে পারে।"


"এক রাতে ৮০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা-এটি কেবল ইউক্রেন নয়, সমগ্র বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। জেলেনস্কির সেনা পাঠানোর আহ্বান কি পশ্চিমাদের অবস্থান বদলাবে? আর যদি বদলায়, তবে কি সত্যিই শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বযুদ্ধের নতুন অধ্যায়? উত্তর লুকিয়ে আছে আগামীর ভেতরেই…"


#Ukraine #Russia #Zelensky #Putin #NATO #Europe #Geopolitics #পুতিন #নাটো #ইউক্রেন #ইউরোপ_ধ্বংস #নিরাপত্তা #আন্তর্জাতিক #WorldWar3 #UkraineCrisis #BreakingNews


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Post Top Ad