বিশ্বের অনান্য শিল্পের মতোই পর্ন শিল্পের বাজার এখন বিশাল। পর্ন ছবিতে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। তবে জানেন কি বিশ্বের এমন বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে যেখানে ইতিহাস, ভূগোল বা ফিজিক্স-কেমেস্ট্রি নয়, শিক্ষার বিষয় হল পর্নোগ্রাফি!
 |
পর্নোগ্রাফি বিশ্ববিদ্যালয়
|
২০১৯ সালের মে মাসে কলোম্বিয়ার মেডেলিন শহরে বিশ্বের প্রথম পর্ন বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছিলেন আমারান্টা। এই ঘটনায় তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, তিনি বিভিন্ন কর্মশালা এবং কনফারেন্স করেন। এর মাধ্যমে মানুষকে পর্ন সিনেমার পরিচালনা, অভিনয় এবং বিক্রি করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বিশ্বের অন্যান্য সমস্ত শিল্পের মতোই, পর্ন শিল্পের বাজারও বিশাল। দেশে এবং বিদেশে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মানুষ রয়েছেন যারা নিজেদের কনটেন্ট বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন। আমেরিকা সহ আরও বিভিন্ন দেশে পর্নগ্রাফিক ছবির প্রোডাকশন হাউস রয়েছে যারা পেশাদার পদ্ধতিতে এই সিনেমার শুটিং করেন। তবে এই শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি চমকপ্রদ বিষয় ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময় একজন পর্ন সিনেমার অভিনেত্রী বিশ্বের প্রথম অ্যাডাল্ট ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছিলেন।
 |
সাংবাদিক থেকে পর্ন সিনেমার অভিনেত্রী আমারান্টা হ্যাঙ্ক |
আমারান্টা হ্যাঙ্ক তিন বছর আগে বিশ্বের প্রথম অ্যাডাল্ট ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছিলেন। একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, আমারান্টা হ্যাঙ্ক একজন বিখ্যাত পর্ন সিনেমার নির্মাতা এবং অভিনেত্রী। তিন বছর আগে তিনি কলম্বিয়ায় বিশ্বের প্রথম অ্যাডাল্ট ফিল্ম বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করেছিলেন। এই ঘটনায় তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে, তিনি বিভিন্ন কর্মশালা এবং কনফারেন্স করেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী দেরকে পর্ন সিনেমার পরিচালনা, অভিনয় এবং বিক্রি করার সহজ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আমরান্টার আসল নাম আলেজান্দ্রা ওমানা রুইজ এবং এই পর্ন ছবির জগতে আসার আগে তিনি একজন সফল সাংবাদিক ছিলেন। একটি শর্তের কারণে তিনি তার দেশ কলম্বিয়াতে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। তিনি একটি শর্ত রেখেছিলেন যে যদি তাঁর দেশের ফুটবল দল ডেপোর্টিভো কিউকুটা টুর্নামেন্টে সফল হয় সেক্ষেত্রে তিনি সোহো ম্যাগাজিনের জন্য একটি নগ্ন ফটোশুট করবেন।
এক ফটোতেই তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা আকাশ ছুঁয়েছিল। নিজের এই ছবি থেকে যে সাফল্য তিনি পেয়েছিলেন তা দেখে সাংবাদিকতার পেশা ছেড়ে পর্ন ছবিতে কাজ শুরু করেন। এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে লাইভ রোম্যান্স করে প্রশিক্ষণ দেন।
 |
চলছে শিক্ষার্থীদের সামনে লাইভ রোম্যান্স প্রশিক্ষণ |
কলম্বিয়ার মেডেলিনে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইভ অনুশীলন করা হয়। আমারান্টা প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ জনের সঙ্গে রোম্যান্স করেন। এর মাধ্যমে তিনি তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের সরাসরি প্রশিক্ষণ দেন এবং তাদেরকে বোঝান, এখানে কীভাবে তাঁরা নিজেদের কাজকে উপভোগ করবে এবং কীভাবে ভুল প্রযোজক অথবা এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ভুয়ো লোকদের থেকে নিজেদের রক্ষা করবে।
কোথা থেকে এই পর্ন স্কুল খোলার আইডিয়া এল হাঙ্কের কাছে? তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করার ধারণাটি তার কাছে এমন মানুষের কাছ থেকে পেয়েছিলেন যারা তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করেছিল। অনুরাগীদের কাছ থেকে ভুরি ভুরি মেসেজ পেতেন তিনি যে কীভাবে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখা যায়?
 |
পর্নোগ্রাফির কোর্স চালু রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রাক্তন পর্ন তারকা আমারান্টা হাঙ্কের উদ্যোগে চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়। পাশ করলেই মিলবে ডিগ্রি! |
সেখানে বেশ কয়েকটি বার্তায় তাকে অনুরাগীরা জানিয়েছিলেন যে তাঁরা তাদের চাকরি ছেড়ে পর্ন সিনেমার জগতে পা রাখতে চান কিন্তু কীভাবে শুরু করবেন তা জানেন না।প্রাক্তন নীল ছবির তারকার কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই থেকেই এই কোর্স চালু করার উদ্যোগ। খুব শীঘ্রই কলোম্বিয়ার রাজধানী বগোটাতে দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে হাঙ্কের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন