বিধ্বংসী ক্ষেপাস্ত্রের শীর্ষে ইরান - Irani missile - BD Today Viral

এইমাত্র

Post Top Ad

Post Top Ad

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

বিধ্বংসী ক্ষেপাস্ত্রের শীর্ষে ইরান - Irani missile

irani-missile


পবিত্র প্রতিরক্ষা যুগের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হলো ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন। ইরাক এবং ইরানের মধ্যে ৮ বছরের যুদ্ধের সময় ট্যাঙ্ক- বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রের পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাব ছিল। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই ক্ষেত্রে ইরান বিশেষ মনোযোগ দেয়। আজকের আয়োজনে ইরানের ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা এক বার ঘুরে আসা যাক। 


বেশিরভাগ পুরোনো অ্যান্টি-আর্মর মিসাইলের জন্য ব্যবহারকারীকে লক্ষ্যবস্তুর সরাসরি দৃশ্য এবং আঘাতের মুহূর্ত পর্যন্ত অবিরাম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হত। আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত সেন্সর এবং ড্রোনসহ এই বৈশিষ্ট্যটি উৎক্ষেপণের স্থান আবিষ্কার এবং ব্যবহারকারীর উপর আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। "ফায়ার-এন্ড-ফরগেট" এবং টপ-ডাউন আক্রমণ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কারণে জ্যাভলিন এবং স্পাইকের মতো সিস্টেমের বিকাশ ঘটে। আলমাস ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ইরানও এই একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙে ফেলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ 


আলমাস মিসাইল: 

আলমাস ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথম ২০২০ সালে চালু করা হয়েছিল যা আবাবিল-৩ ড্রোন থেকে ছোড়া হয়েছিল। এটি সাঁজোয়া লক্ষ্যবস্তু, দুর্গ এবং কর্মীদের উপর আক্রমণ করতে সক্ষম। আলমাস বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে, যেমন ড্রোন, হেলিকপ্টার, যানবাহন, এমনকি মানুষ এবং এটি চারটি মডেলে চালু করা হয়েছে। যথা - 


আলমাস ১: এর সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ পরিসীমা ২০০ মিটার থেকে ৪ কিলোমিটার।  এর নির্দেশিকা ধরণ কঠিন প্রতিরোধ-বিরোধী।


আলমাস ২: ৭ কিমি পাল্লা, শত্রুপক্ষের সম্মুখভাগের গভীরে লক্ষ্যবস্তুর জন্য উপযুক্ত, এটি কোবরা হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা যায়।


আলমাস ৩: ১০ কিমি পরিসীমা, লক-অন ক্ষমতা সম্পন্ন এবং  উন্নত নির্দেশিকা অনুসরণ করে।


বদর: এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেখতে আলমাস পরিবারের সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। এর পাল্লা ২০০ থেকে ২০০০ মিটারের মধ্যে এবং এর ৬০০ মিমি সাঁজোয়া ইস্পাত ভেদ করার ক্ষমতা রয়েছে। আলমাস ৪ এবং এনলোস: ভবিষ্যতে একে আরো উন্নত করার কাজ চলছে । 


মোহাজের-১০-এর মতো ড্রোনে বসানো যায় এমন আলমাস ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের দীর্ঘ পাল্লার আক্রমণাত্মক ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। হালকা এবং দ্রুতগামী শত্রু জাহাজের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো একটি কার্যকরী ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা ইরানকে বিশ্বে একটি শীর্ষস্থানীয় অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে এবং এই অস্ত্রগুলো স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় তা সশস্ত্র বাহিনীর কৌশলগত শক্তিকে নিশ্চিন্তে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Post Top Ad