আজকের এই ভিডিওতে আমরা বিশ্লেষণ করব Global Firepower 2025 অনুযায়ী
যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার সামরিক শক্তির বর্তমান অবস্থা। তবে আগে চলুন বুঝি, এই
তালিকা আসলে কী-
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার (Global
Firepower) ২০২৫ সালের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, সামরিক শক্তি হিসেবে মোট ১৪৫ দেশের তালিকায়
ভেনেজুয়েলা রয়েছে পৃথিবীর ৫০তম অবস্থানে। ভেনেজুয়েলার PwrIndx স্কোর হলো 0.8882, যেখানে ‘0’ মানে পারফেক্ট
বা সর্বোচ্চ শক্তি। ভেনেজুয়েলার পজিশন ল্যাটিন আমেরিকার ৭ম শক্তিশালী দেশ হিসেবে
বিবেচিত ব্রাজিল প্রথম, তারপর আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো, এবং তারপরে আসে কোলম্বিয়া, চিলি,
পেরু।
অন্যদিকে ২০২৫-এর গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার
তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র প্রথম স্থান অধিকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের PwrIndx-
স্কোর হলো 0.0744, যদিও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম, তবে রয়েছে রাশিয়া ও চীন, উভয়েরই
PwrIndx মান 0.0788। চতুর্থ অবস্থানে ভারত (PwrIndx ≈ 0.1184), পঞ্চমে দক্ষিণ কোরিয়া (≈ 0.1656), এবং তারপরে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স,
জাপান, তুরস্ক ও ইতালি শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে।
চলুন এবার ভেনেজুয়েলার সামরিক
ক্ষমতা বিভিন্ন মাত্রায় বিশ্লেষণ করি:
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনী
প্রায় ১,৫০,০০০ সক্রিয় সদস্য, ৪,৩০,০০০ রিজার্ভ সদস্য এবং ৩৫ লক্ষ্য মিলিশিয়া নিয়ে
গঠিত। রাশিয়া, চীন ও ইরান থেকে আনা উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে ভেনেজুয়েলার
হাতে।
ভেনেজুয়েলার হাতে মোট যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে
৪৪ টি ৷ যুদ্ধবিমান রয়েছে ২২৯টি। এর মধ্যে-Helicopters: ৭৪টি, Combat aircraft ৫৪ টি,
F 16A: ৩টি, Sukhoi Su 30: ২১টি, Training aircraft: ৪৮ টি, Transport aircraft:
৪৩টি, Other ৯টি। এছাড়াও ১৬টি F-16, ২৩টি চীনা Hongdu K-V এবং ১০টি Embraer
Tucano।
তাছাড়া ও M1-Tor এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৫৩টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ২৫০টি
কমব্যাট যান, এবং ১০০,০০০ AK-Kalashnikov রাইফেল রয়েছে ভেনেজুয়েলার কাছে।
ভেনেজুয়েলার মোট আর্টিলারি শক্তি প্রায়
১৬৪টি। এছাড়াও আরো আছে- এয়ার ডিফেন্স ও অ্যান্টি-শিপ/ অ্যান্টি-ট্যাংক মিসাইল।-- S-300, BUK-M2E, Pechora-2M, Igla-S MANPADS;
*Anti-ship: চীনের C-802A, ইরানি CM 90, S-300VM:
ভেনেজুয়েলার হাতে Main Battle
Tanks:T-72: প্রায় ৯২টি ,AMX-30: প্রায় ৮০টি,Light Tanks: AMX-13: প্রায় ৩১টি, Scorpion-90: প্রায় ৭৮টি রয়েছে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ক্ষমতা বিভিন্ন মাত্রায় বিশ্লেষণ করি
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে খরচ করেছে প্রায় $997 বিলিয়ন যা সমগ্র বিশ্ব সামরিক খরচের ৩৭%।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১.৩৩ মিলিয়ন সক্রিয় ও ৭৯৯,৫০০ রিজার্ভ সেনা সদস্য রয়েছে। প্রায় ১৩,০০০+ উচ্চ প্রযুক্তির বিমান রয়েছে। যেমন (F
22, F 35 ।
প্রায় ৪,৬০০ ট্যাংক, বিশাল আনুকূল্যযুক্ত
গাড়ি ও সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি।
নৌ বাহিনীতে প্রায় ৪৯০ যুদ্ধজাহাজ,
১১টি বিমানবাহী ক্যারিয়ার রয়েছে।
বিশ্বে স্থাপিত পারমাণবিক অস্ত্রের
৪২%; এবং AI, সাইবার ও স্পেস প্রযুক্তিতে অগ্রগামী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
Global Firepower অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের
যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৪০টি। World Directory of Modern
Military Warships অনুযায়ী মোট ২৩২টি warship hulls রয়েছে। এতে Nimitz-class এবং
Ford class ক্যারিয়ারের পাশাপাশি সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়র, ক্রুজার, করভেট, amphibious
Assault Ships প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ১০টি Nimitz class + ১টি Ford
class ক্যারিয়ার রয়েছে। Attack submarines ৬৯টি, যার মধ্যে
২৯টি attack submarines, ১৪টি ballistic missile submarines ৪টি guided missile
submarines। ৭৩টি সাধারণ এবং ২টি stealth
Zumwalt class ডেস্ট্রয়ার রয়েছে। নৌ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সঠিক সংখ্যা
উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তবে তথ্য মতে ,মার্কিন নৌবাহিনীতে প্রায় ১,০০,০০০+ সক্রিয় অফিসার ও নৌ-সৈনিক থাকতে
পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানসংখ্যা সর্বমোট ১৪৪৮৬ টি। যার মধ্যে US Air Force, Army
Aviation, Navy, Marine Corps রয়েছে। এছাড়াও US Air Force আছে ৫০০৪ টি ,US Army Aviation আছে ১২৮৯ টি,
US Navy আছে ২৫০৪ টি, Marine Corps
আছে ১২১১টি।
মোট আর্টিলারি ইউনিট প্রায় ৩৫৫৬ টি। Global Firepower অনুযায়ী
Intercontinental Ballistic Missiles আছে ৪০০টি। নিউক্লিয়ার (Warheads) আছে মোট ৩৭০৮
টি, এর মধ্যে ১৭৭০ টি ডিপ্লয়ড Warheads (ICBM, SLBM, Bomber-based), বাকিগুলো সংরক্ষিত
বা dismantling-এ।
Patriot আছে ৪৮৩ ইউনিট। THAAD
(Area Defense) আছে ৪২ ইউনিট। Avenger আছে ১৪০০ ইউনিট।
মূলত একটি দেশের সামরিক হিসাব সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাইরে থেকে এর সঠিক হিসাব দেয়া সম্ভব নয়।
ভেনেজুয়েলায় সামরিক খরচ এবং তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা বহু বছর ধরে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। চাভেজ-বিরোধী যোদ্ধা থেকে জাতীয় শক্তি রূপান্তর, এটি গড়িয়েছে Maduro-Padrino López যুগে। সামরিক শক্তিতে
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে প্রথম হলেও ভেনিজুয়েলার রয়েছে অপ্রতিরোধ্য কিছু শক্তি। এর মধ্যে অন্যতম এর তেলের ভাণ্ডার, জনশক্তি আর বড়
কিছু দেশের আশীর্বাদের হাত। তবে সামনে চীন ও রাশিয়ার চাপ, এবং নিজস্ব সেনা ঘাটতির বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ
হয়ে দাঁড়াতে পারে।
#যুক্তরাষ্ট্র_বনাম_ভেনেজুয়েলা #GlobalFirepower2025 #USAvsVenezuela #MilitaryComparison #যুক্তরাষ্ট্র #ভেনেজুয়েলা #BanglaMilitaryAnalysis #WorldMilitaryPower #সামরিকশক্তি #MilitaryPowerComparison #GFP2025 #DefenseAnalysis2025
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন