![]() |
বক্সার টাইসন এর সাথে তার একজন ভক্ত |
আরেকবার বক্সিং ম্যাচের আগে টুইটারে জানিয়েছিলেন, তার জয়ের রহস্য। লিখেছিলেন, বহু বার সহবাসের কারণে ফিটনেস বাড়ে। পেশির শক্তি বাড়ে। সহজেই এনে দেয় বিজয়ের স্বাধ। এইপর্যন্ত বহু বার তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য করে, কখনও পড়েছেন পুলিশি ঝামেলায়। তারপরেও বার বার ফিরে এসেছেন রিংয়ে।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন মাস আগেই জন্মেছিলেন টাইসন। ওজন ছিল মাত্র ৪৫০ গ্রাম। বেঁচে থাকার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। সে সময় বক্সিং রিং কাঁপাচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বক্সার মাইক টাইসন। সেই টাইসনের নামেই নিজের ছেলের নাম রাখেন বাবা জন ফিউরি। টাইসনের বাবা জন ফিউরি ছিলেন একজন পেশাদার বক্সার।
২০০৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রথমবার এবিএ সুপার-হেভিওয়েট খেতাব জিতে নেন টাইসন। এর পরেই প্রবেশ করেন পেশাদার বক্সিং জগতে। ২০১১ সালে ব্রিটিশ এবং কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন টাইসন।
গর্ভপাত, সমকামের বিরোধিতাও করেছেন টাইসন। প্রকাশ্যে তিনি দাবি করেছেন, এগুলোকে বৈধতা দিলে অমান্য করা হবে বাইবেল। সমকামকে শিশু ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করে বসেন টাইসন। তা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়। ২০১৫ সালে তাকে বছরের সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মান দেয় বিবিসি। দাবি ওঠে সেই সম্মান বাতিলের। আর হাজার হাজার মানুষ সই করেন সেই পিটিশনে।
রূপান্তরকামীদের নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেন টাইসন। ২০১৫ সালে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের বোন অশালীন আচরণ করলে তাকেও ফাঁসিতে ঝোলাতে পিছপা হবেন না।
![]() |
বক্সার টাইসন |
আবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি যা কিছু খারাপ, সবই করেছি। আমরা সকলেই তো ভুল করি। আমার আক্ষেপ একটাই, বিয়ের আগে সহবাস। ‘আমার জীবনের কিছু অংশ মুছে ফেলতে পারলে খুব ভাল হত। আমি অন্তত ৫০০ নারীর সঙ্গে সহবাস করেছি। এর বেশিও হতে পারে। প্রতি বার রিং-এ ওঠার আগে নারীদের সাথে যৌন মিলন আমাকে এনে দিত চূড়ান্ত বিজয়।’
এরপরেই জানান, অতীতের এসব ভুলের জন্য কতটা পুড়েছেন বিবেকের দংশনে। তার কথায়, ‘এখন ভাবলে অসহ্য লাগে। আমি ধার্মিক নই। তবে মানুষকে ভালো কাজে সাহায্য করতে চাই। সব খারাপ জিনিস আটকাতে চাই।’
![]() |
বক্সার টাইসন এবং তার স্ত্রী |
ব্যক্তিজীবনে বেশ সুখী টাইসন। তার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন ১৫ বছর বয়সী প্যারিসের সঙ্গে প্রথমবার দেখা হয় তার। পরবর্তী কালে তিনিই টাইসনের স্ত্রী হয়েছেন। ২০০৮ সালে বিয়ে হয় দুজনের। তিন ছেলে এবং তিন মেয়ে রয়েছে এই দম্পতির। তিন ছেলের নামেই রয়েছে প্রিন্স, যা এসেছে টাইসনের প্রিয় ফাইটার প্রিন্স নাসিম থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন