নাবালিকাদের ধর্ষণ থেকে শুরু করে তাদের যৌন দাসী বানিয়ে রাখার মতো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই ধর্মপ্রচারের সাড়ে ৮ হাজার বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল তুরস্কের আদালত।
![]() |
ধর্ম গুরুর যৌন জীবন |
স্বল্প বসনা সুন্দরি তরুণীদের মাঝেই সবসময় থাকতেন তিনি। আদর করে তাঁদের ডাকতেন ‘বিড়াল ছানা’। এমন কুরুচিপূর্ণ এক ধর্মপ্রচারক আদনান ওকতারকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল তুরস্কের আদালত। তাও আবার দু’এক বছরের জন্যে নয়। ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের জেল হয়েছে ওই ব্যক্তির। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েদের ধর্ষণ, যৌন অত্যাচার, ব্ল্যাকমেল, গুণ্ডাদের গ্যাং চালানো-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিল তুরস্কের পুলিশ। প্রতিটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণ হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা গুলো নিশ্চিত করেছে। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার আদনানের ভিলায় অভিযান চালায় তুরস্ক পুলিশ।
তখনই প্রকাশ্যে আসে তাঁর এসব কুকীর্তি। জানা যায় ধর্ম প্রচারের নামে গুণ্ডাদের গ্যাং চালাচ্ছে ওই ব্যক্তি। এর পরই শতাধিক নারী ভক্ত-সহ আদনানকে গ্রেফতার করে তুরস্ক পুলিশ। শুধু তাই নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয় আদনানের অনলাইন টিভি A9।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, সাজা ঘোষণার সময় ভাবলেশহীন ছিল আদনান। বিচারকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমার হাজারের বেশি প্রেমিকা রয়েছে।” আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় যৌন নিগ্রহের সকল অভিযোগ আগাগোড় অস্বীকার করে যায় আদনান। এছাড়া দেশদ্রোহিতার অভিযোগও মানতে চায়নি সে।
১৯৯০ সালে প্রথমবার আদালতে আনা হয়েছিল আদনানকে। তাঁর বাড়ি থেকে ৬৯ হাজার গর্ভ নিরোধক ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছে তুরস্ক পুলিশ। তবে এর আগে বিশ্বের আর কোনও ব্যক্তিকে এতোদিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন