প্রাচীনকালেও ছিল কন্ডোম, কখনও সোনার আস্তরণ, কখনও কচ্ছপের খোল বা পশুর শিং পরানো হত পুরুষের বিশেষ অঙ্গে।
![]() |
প্রিন্টেড কনডম |
যৌনতায় কন্ডোম ব্যবহারের বিকল্প নেই! কিন্তু আপনি জানেন কি, আধুনিক কালে কন্ডোমের আবিষ্কার হয়নি। হাজার বছর আগে থেকেই নিরাপদ যৌন মিলনের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে কন্ডোম। এখনকার মতো এত সৌখিন কন্ডোম তখন ছিলোনা। প্রাচীনকালে ব্যবহার কখনও পশুর শিং, পশুর চামড়া, খাদ্যনালী আবার কখনও বা ধাতব আস্তরণ জন্ম নিরোধক হিসাবে ব্যবহার করা হত। ১১ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফান্সের গুহাচিত্রে কন্ডোম ব্যবহারের প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় বলে দাবি একাধিক ইতিহাসবিদ-দের।
কোন একটা পাতলা ধাতব বর্ম পুরুষের যৌনাঙ্গের মুখে পরিয়ে দেওয়া হত। সাধারণত সোনার আস্তরণ পরানো হত। চিনে আবার সিল্ক কাগজ বা ভেড়ার খাদ্যনালী দিয়ে এক প্রকার কন্ডোম বানানো হত। জাপানে কচ্ছপের খোলস এমনকী অনেক ক্ষেত্রে পশুর শিং এর খোল দিয়েও তৈরি করা হত কন্ডোম।
![]() |
সোনার তৈরি কন্ডম |
ষষ্ঠদশ শতকে ইউরোপ জুড়ে যৌন রোগ সিফিলিস দেখা যায়। ইতালির চিকিৎসক গ্যাব্রিয়েলি ফ্যালোপিয়ো একটি বিশেষ রাসায়নিকে সিক্ত করা লিনেন আবরণ বানান পুরুষদের জন্য। এই আবরণ সঙ্গমের সময় পেনিসে জড়িয়ে ফিতে দিয়ে বেঁধে দেওয়া হত। এটিই প্রথম কন্ডোম যা এসটিডি বা যৌনরোগ নিরোধক হিসেবে কাজ করেছিলো।
১৮৫৫ সালে প্রথম রাবার কন্ডোম তৈরি হয়। তবে তার দাম ছিল বেশ চড়া। ১৯২০ সালে ল্যাটেক্স আবিষ্কারের পর কন্ডোমের খরচ অনেকটাই কমে আসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন