![]() |
একাধিক নারী শীজানের যৌন লালসার শিকার |
তুনিশার বান্ধবী রায়া লাবিব বলেন, একজন মেয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল যিনি শীজানের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। চারমাস আগেই সে শীজানের সঙ্গে ব্রেক আপ করে নেয়, যখন সে জানতে পারে যে, শীজান আমার বান্ধবী তুনিশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। রায়ার দাবি, শীজান তাঁর যৌন চাহিদা মেটাতে অনেক মেয়েকেই প্রেম-ভালোবাসার নামে টিস্যু পেপারের মত ব্যবহার করেছে, সে আসলে সবাইকেই ঠকিয়েছে।’
![]() |
তুনিশা এবং শীজান খান |
রায়ার দাবি, ‘শীজানের বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব ও তাঁর হ্যান্ডসাম লুকের কারণে অনেক মেয়েরাই তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। তবে শীজান শুধুমাত্র সেক্সের কারণেই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতায়। তুনিশার সঙ্গেও তাই করেছে সে তুনিশা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল, ওষুধ খেয়ে অ্যাবরশন করেছে। তুনিশা শীজানের চরিত্রের কথা জানতে পারে এবং কি একাধিক বান্ধবী থাকার কথা জানার পরেই ওর সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। তখনই শীজান তুনিশার সঙ্গে ব্রেক আপ করে নেয়। এর জেরেই আত্মহত্যা করে তুনিশা।’
২০ বছর বয়সেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন তুনিশা শর্মা। মুম্বই ফিল্ম এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ ছিলেন তিনি। ক্রিসমাসের আগের দিন শনিবার ধারাবাহিকের শ্যুটিং চলাকালীন সময়ে সেটের ওয়াশরুমে আত্মঘাতী হন ২০ বছর বয়সী অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেত্রী, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। জানা যায় যে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
![]() |
অভিনেত্রী তুনিশা এবং তার মা |
এরপরই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা শীজান খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অভিনেত্রীর মা। অভিনেত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে শীজান। শনিবারই তিনি পুলিসে অভিযোগ জানান, দায়ের হয় এফআইআর। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে ১৫ দিন আগেই তুনিশার সঙ্গে ব্রেক আপ হয়েছিল শীজানের। তারপর এই প্রসঙ্গে মুখে খুললেন তুনিশার বন্ধু রায়া লাবিব। তিনি বলেন- তুনিশা একা নন, একাধিক নারী শীজানের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন। একই সময়ে তাঁর একাধিক প্রেমিকা ছিল। এমনকী একসঙ্গে ৮ থেকে ১০ জন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মত্তছিল শীজান।
আলিবাবা: দাস্তান এ কাবুল ধারাবাহিকের সেট থেকে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সিরিয়ালে মারিয়ামের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ৩:১৫ নাগাদ ধারাবাহিকের নায়ক সিজান খানের মেকআপ রুম থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর দেহ। ওই ঘরের দরজা ভেঙে তুনিশার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কেন নায়কের ঘরে এই কাণ্ড ঘটালেন টেলি অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন ওঠে সবার মনে। এরপরেই আটক করা হয় সিজান খানকে।
সিজান জানিয়েছেন, মৃত্যুর একদিন আগে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন তুনিশা শর্মা। কোনও খাবার খাননি তিনি। অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন। এমনকী কিছুদিন আগেও নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তুনিশা। সেই সময় তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন সিজান। এমনটাই দাবি তাঁর। তুনিশার মাকেও নাকি সেই কথা আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন