বিশ্বকাপের আসর বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেষেওঠে চোখ ধাঁধানো আলো, হৈ-চৈ আর মাঠে খেলোয়াড়দের বিজয়ের লড়াই। আর এ মাঠের বাহিরে ক্যামেরার অনুপস্থিতিতে কি হচ্ছে তা আমরা অনেকেই কল্পনাও করতে পারি না। বস্তুত পক্ষে, বিশ্বকাপ মানেই একটি অঘোষিত যৌনতার আসর। যুগ যুগ ধরে ঘটেযাওয়া ইতিহাস গুলো পর্যালোচনা করলে এর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়াযায়।
![]() |
বিশ্বকাপ যেন যৌনতার আসর |
এই খেলার আসরের মাধ্যমেই এক দেশের মানুষ অন্যদেশের মানুষের সাথে সহজেই মেলামেশা করার সুযোগ পায়, যা অন্যকোন উপায়ে এত-সহজে সম্ভব নয়। বিশ্বকাপ আসরকে কেন্দ্র করে এর বাহিরের জগতে গড়েওঠে হাজার কোটি টাকার খেলা। যার প্রধান উপাদান হচ্ছে- মাদক এবং যৌনতা। রাশিয়া, চায়না, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ম্যাক্সিকো ও অ্যামেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের যৌনকর্মীরা এসে ভিড় করে বিশ্বকাপ আয়োজকের দেশে।
বিশ্বকাপে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের ফুটবলার কিংবা কোচ মাঠের বাইরে জড়িয়ে পড়েছেন নানা কেলেঙ্কারিতে। কেউ বিতর্ক কাটিয়ে ফিরে এসেছেন খেলার মাঠে, কেউ বা আর কখনোই ফিরতে পারেননি। বিশ্বকাপে মাঝেমধ্যেই শোনা যায় হরেক রকম কেলেঙ্কারির কথা। তেমনি আপনাদের জন্য আজ আমাদের অয়োজন বিশ্বকাপের কিছু বিতর্কিত ঘটনা-
১। চেক প্রজাতন্ত্র
২০১০ সালে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে। কোচ পিটার রাদা-সহ ৬ খেলোয়াড়ের বেশ কিছু বিতর্কিত ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ ওঠে, স্লোভাকিয়ার সঙ্গে একটি ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর তাঁরা যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাত কাটাতে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান।
২। ফ্রান্স
২০১০ সালে বিতর্কে জড়ান ফরাসি তারকা ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি, করিম বেঞ্জিমা এবং সিডনি গভলৌ। এই ৩ তারকা জড়িয়ে পড়েন যৌন কেলেঙ্কারিতে। চ্যাম্প এলিসেসে একটি নৈশক্লাবে গিয়ে তিন খেলোয়াড় যৌনতায় মত্ত হন। রিবেরি ও বেঞ্জিমা যাঁদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাঁদের মধ্যে এক নাবালিকা ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাই ওই দুই তারকার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করাহয়।
৩। মেক্সিকো
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের আসরে মেক্সিকো দলের কোচ, ফুটবলার একসঙ্গে রাশিয়ান যৌনকর্মী সহ অন্তত তিরিশ জন গণমিলনে অংশ নেন। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। কেউ কেউ বলেন বিশ্বকাপে ভাল না খেলতেপেরে সেক্স পার্টি দিয়েছিলেন মেক্সিকোর খেলোয়াড়রা। মেক্সিকোর ফুটবল অধিকারিকরা জানান, কোনও খেলোয়াড় তাঁদের ব্যক্তিগত সময়ে কী করবেন, তা বলে দিতে পারে না ফুটবল সংস্থা। কোনও রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ফুটবলারদের বিরুদ্ধে। সেই বিশ্বকাপে তেকাঠির নীচে চমকে দেওয়া গোলরক্ষক ওচোয়াও ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বলে শোনা যায়।
৪। আমেরিকা
১৯৮৮ বিশ্বকাপে আমেরিকার খেলোয়াড় জন হারকেসকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেন তার কোচ স্টিভ স্যাম্পসন। শুনাযায়, আর এক সতীর্থ এরিক ওয়াইনাল্ডার-এর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জন হারকেস। পরবর্তীতে আর কোন খেলায় জায়গা হয়নি এই জন হারকেসের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন