আজওয়া খেজুর এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতের একটি বাস্তব উদাহরণ - BD Today Viral

এইমাত্র

Post Top Ad

Post Top Ad

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজওয়া খেজুর এবং মহান আল্লাহর অশেষ রহমতের একটি বাস্তব উদাহরণ

গত বছর হজ্জ শেষ করে বেশ কিছু আজওয়া খেজুর সাথে নিয়ে আসলাম। যথাসম্ভব আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের দিয়ে আমি একটা জার ভর্তি করে নিজের জন্য রেখে দিলাম খুব যত্ন করে। ঐ খেজুর নিয়ে আমি মিশর যাই। তারপর আমেরিকা, সাথে আমার সেই আজওয়া খেজুর।


Ajwa-dates
আজওয়া খেজুর

একদিন এক বাসায় বেড়াতে গেলাম। সে বাসার আন্টি রান্না করতে করতে গল্প করছিলেন। তার পাশেই কিচেনে বসে ছিলাম। এক পর্যায়ে হজ্জের প্রসঙ্গ, তারপর আন্টি আজওয়া খেজুর নিয়ে বলতে গিয়ে খুব ইমোশনাল হয়ে গেলেন। তিনি খুব শুনেছেন কিন্তু আজ অবধি খেতে পাননি। এক পর্যায়ে কাঁদছেন, যদি হজ্জে যেতে পারতেন, যেতেন যদি মদীনা। ইচ্ছেমত যদি আজওয়া খেতে পারতেন।


সেদিনের মত আন্টির কাছ থেকে বিদায় নিলাম। বাসায় ফিরে ফ্রীজ খুলে আমার আজওয়া খেজুরের জারটা হাতে নিয়ে বসে আছি। আন্টির কান্না ভেঁজা মুখ আর তার আফসোসটা মন থেকে সরছে না। আন্টিকে দিতে ইচ্ছে করছে, আবার তিন দেশ বয়ে বেড়ানো নিজের জন্য রেখে দেওয়া এত প্রিয় জিনিসটা দেই কি করে ।


পরদিন সকালে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে সোজা আন্টির বাসায়। হ্যান্ড ব্যাগ খুলে আজওয়া জারটা আন্টির হাতে দিয়ে বললাম ‘পুরোটাই আপনার’। কিছু অনুভুতি বলে বুঝানো যায় না। আমি বুঝাতে পারবো না তারপর সেখানে কি আবেগঘন মুহূর্ত হলো।

আজওয়া-খেজুর
একটা চরম উপলব্ধি বাসায় ফিরলাম। খুব যত্ন করে তিন দেশ বয়ে সুদুর আমেরিকাতে নিয়ে যাওয়া আজওয়ার জারটা আসলে আমার না; আমাকে দিয়ে আল্লাহ সুবহানুওয়াতায়ালা সেটা যার জন্য বরাদ্দ তার হাতে পৌছে দিয়েছেন। রিজিক যেটা আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন সেটা আসবেই, সাত সমুদ্র তোর নদী পেরিয়েও।


ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এর সপ্তাহ খানেক পর আমার ঘনিষ্ট বন্ধু ওমরা করে ফিরল। আমি দেখা করতে গেলাম। বিদায় নেয়ার সময় বন্ধু বললো ‘তোর জন্য খুব দামী গিফট্ আছে।’


সারাটা রাস্তা ঝাপসা চোখে ড্রাইভ করে বাসায় ফিরছি। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় চোখ ভিঁজে যাচ্ছে বারবার। ঠিক এক জার আজওয়া নিয়ে বাসায় ফিরেছি, যেমনটা দিয়েছিলাম আন্টিকে।


সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ فَقَدَّرَهُ تَقْدِيرًا

‘‘এবং তিনি প্রত্যেক জিনিস সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তার একটি তাকদীর বা পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছেন’’। (সূরা ফুরকান: ২)


লেখকের অনুরোধে নাম প্রকাশ করা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Post Top Ad